গদাধর নদী। ছবি-মায়া রাজবংশী |
নদীটির উৎপত্তিস্থল থেকে মোট দৈর্ঘ্য ৩১১ কিলোমিটার(প্রায়)।মূলত ভারতের তুফানগঞ্জে এটা বড় নদী আকার ধারণ করে এবং কৃষ্ণপুর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তার প্রস্থতা আস্তে আস্তে হ্রাস পায়।বাংলাদেশ অংশে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার।বাংলাদেশে গড় প্রশস্ততা ১৫ মিটার এবং সর্পিলাকার।
গদাধর নদীর পানি কালো।স্থানীয়দের ভাষ্যমতে পাহাড়ের পাথর ধোয়া পানি হওয়ায় এই নদীর পানির বর্ণ এরকম কালো।কিন্তু পানি অনেক পরিষ্কার।
গদাধর নদীতে বাংলাদেশ অংশের শালজোড় গ্রামে রয়েছে একটি ব্রীজ,ভারতের কৃষ্ণপুর গ্রামে রয়েছে একটি বেইলী ব্রীজ।
বাংলাদেশ প্রবেশমুখে ভারতের ব্রীজ। ছবি-মায়া রাজবংশী |
মূলতঃ গদাধর নদীটির উৎপত্তি ভুটানের পাহাড় থেকে এবং এরপর ভারতের কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ থানার দরিয়াবলাই সীমান্ত হয়ে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের শালজোড় গ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।বাংলাদেশে ৫ কিলোমিটার প্রবাহিত হওয়ার পর নদীটি বাংলাদেশের উত্তর ধলডাঙ্গা সীমান্তে ঝাউকুটি গ্রাম দিয়ে এবং ভারতের কোচবিহার জেলার বালাভূতের চরে প্রবেশ করে রায়ডাক নদীর সাথে মিলিত হয়।
শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহের মাত্রা নিম্ন পর্যায়ে নামলেও বর্ষাকালে নদীতে অস্বাভাবিক মাত্রায় পানি প্রবাহিত হয়। এ সময় দুকূল উপচে নদীর অববাহিকায় বন্যার পানি প্রবাহিত হয় এবং বিস্তীর্ণ জনপদ ভাঙনের কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হয়। পলির প্রভাবে এই প্রমত্তা নদের তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে।যার প্রমাণ এই শুষ্ক মৌসুমেও গদাধর নদীতে রয়েছে প্রবল স্রোত।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।