আধশোয়া কুকুরটা ভিজে গ্যাছে
জোৎস্নার আর্দ্র রজনীতে।
কয়েকটি হুতোম প্যাঁচা জেগে আছে শুধু,
সৌখিন জোৎস্নার বিনিময় বেতনভুক নৈশ্যপ্রহরী বলে।
প্রেমনিষ্ঠ দু'একটা জোনাকি কোথাও কোথাও
রঙিন বারুদ জ্বালিয়ে খুঁজছে
কাকে, কে জানে?
এই মেহনতি সংসারের বর্তমান বাজারে
কেরোসিনের মুল্যজ্ঞান আছে কী না তাদের,
কে জানে?
না জানার মধ্যে আমারও আছে অনেক কমতি
তার মধ্যে জানা হয় নাই, আমি কে?
তুমি কি.....?
জীবনের এসব নৈমিত্তিক হিসাবে যখন
সহজ অংকটাই বাদ দিতে হয় খুঁজে খুঁজে;
মনে হয় তখন,
পৈতা থাকলেও আজকাল
বামন চেনা যায় না অনায়াসে।
শরীরে উল্টো পিঠের মতোই
বৃদ্ধাঙ্গুলি হাতালেও
কেউ কেউ চিরকাল রয়ে যায় তবু নাগালের বাইরেই।
কমরেড ফুলকুমরের সংসারে হানা
বালুদস্যু ম্যাজিস্ট্রেটের বেশধরে
আমার স্বপ্ন সংসারে খানসেনা হয়ে নামে
তুমি নামের স্বপ্ননাশী হরিণী।
শরীরের লোনা স্নেহ যখন ঘাম হয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়
জোনাকিরা হাটে চলে
বেলা যায়, অবেলায় চেয়ে দেখি
এক একটা গর্ভজাত স্বপ্ন হেরে গিয়ে
রক্তাক্ত লাশ হয়ে ঘরে ফেরে কাতারে কাতারে।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।