ধরণী নদী, রৌমারী,কুড়িগ্রাম। |
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে জালের মতো ছড়িয়ে আছে প্রায় অর্ধ শতাধিক নদ-নদী। এর কোনগুলো মৌসুমী নদী, আবার কোনগুলো বারোমাসী নদী। হ্যাঁ, বারোমাসী নদী নামেও কিন্তু একটি নদী কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার মধ্যে রয়েছে। সে সম্পর্কে অন্য একদিন আলোকপাত করা যাবে। আজ কথা বলবো ধরণী নদী নিয়ে। কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত প্রধান নদ-নদী গুলোর মধ্যে ধরণী নদী অন্যতম। কুড়িগ্রাম জেলা তথ্য বাতায়নে প্রাপ্ত ১৬ নদীর মধ্যেও এটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গাড়ো পাহাড় থেকে উৎপত্তি লাভ করে। যা উক্ত অঞ্চলে ডিলনী(Dilni) নামে পরিচিত। এটি বাংলাদেশ ভারতের আন্তঃ সীমান্ত নদী হলেও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) এবং আন্তঃ সীমান্ত নদী তালিকায় নদীটির নাম নেই।
বড়াইবাড়ি সীমান্ত যুদ্ধের কথা আমরা সবাই জানি।২০০১ সালে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফরা কোন প্রকার কারণ ছাড়াই অতর্কিতে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের ভূখন্ডে। তারা ধরণী নদী ঘেষা ১০৬৭/৩ পিলার অতিক্রম করে বড়াইবাড়ী বিডিআর ক্যাম্পের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে। এবং তারা ধরণী নদীর পাড় ঘেষে নিজেদের আড়াল করে এদেশে আক্রমণ করে। তাই এই ধরণী নদীটি স্বাধীন দেশের মধ্যে সংঘটিত একটি অন্যতম সীমান্ত যুদ্ধের স্বাক্ষী।
নদীটি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ি সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পের পাশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতীয় অংশে উক্ত যায়গাটির নাম ঠাকুরানবাড়ি। অতঃপর নদীটি বাংলাদেশ অংশে ২.৫ কি.মি. এঁকেবেকে প্রবাহিত হওয়ায় পর পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে। যা ভারতের ঝগড়ার চর ও বাংলাদেশের রৌমারী উপজেলার ঝাউবাড়ি সীমান্ত এলাকা। অতঃপর নদীটি পাহাড়তলী হয়ে আবারও বকবান্ধা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং খেওয়ার চর বকবান্ধা নামক স্থানে জিঞ্জিরাম নদীতে মিলিত হয়।
নদীটির প্রকৃতি সর্পৃলাকার। নদীটি বাংলাদেশের ভেতরে গড়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
স্থানীয়দের ভাষায় এই নদীর নাম ধন্নি(Donni) বা দন্নি নদী। যা মূলত ধরণী নামে ব্যাপক পরিচিত।
নদীকথক- জাহানুর রহমান খোকন
পিছনে ভারতের সীমান্ত,ধরণী নদী তীরে লেখক। ছবি- কল্লোল রায় |
3 মন্তব্যসমূহ
এই নদীর কাাছোত গেছনু সেই ৯০ সালে, তারপর আর দেখা নাই, এই কাজল কালো প্রাণের নদীর। আহা! কতদিন দেখং না তোমাক। কিন্তু ভাই, আপনি কি নদীবিষয়ক এনজিওয়ালাদের ভাত মারি ফেলবেন?
উত্তরমুছুনভাই ভাল কইছেন। নদীপ্রেমি এনজিওলা তো খোকন ভাইয়ের শত্রু হই জাবে।
মুছুনজানি না ভাই। তবে যারা নদী নিয়ে বারো ভাতারি আও কারে তামার সাথে একনা বুঝা পড়া করবের জন্নে মোর এই নদী কথন।
মুছুনধন্যবাদ জানান কমেন্ট করি মোক উৎসাহ দেওয়ার জন্নি
মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।