আষাঢ় মাস,বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশে মেঘের ঘনঘটা।
আফতাব সাহেবের মন ভালো নেই,আগে বৃষ্টি এলেই পাড়ার সকল ছেলেরা মিলে ফুটবল নিয়ে ছুটতো,সেটা অতীত,কিন্ত বিয়ের কয়েকটি বছরের কথাও যে অনেক ভাবিয়ে তোলে আফতাফ সাহেব কে, স্ত্রী রুনু,বয়েসে আফতাব সাহেবের ১০ বছরের ছোট হলেও তার সকল ভাললাগার বিষয়ে সজাগ থাকতো,আফতাব অফিস থেকে যতো ক্লান্তি নিয়েই বাড়ি ফিরুক না কেন রুনু তার সব ক্লান্তি দূর করার চেষ্টা করতো,বাইরে বৃষ্টি শুরু হলেই রুনু আফতাব সাহেবকে হাত ধরে টেনে ছাদে নিয়ে যেত,যত্ন করে বৃষ্টি ভেজা শরীর মুছে দিত। আস্তে আস্তে সময় চলে গেছে,ভাটা পরেছে যৌবনের রাজটিকায়,হালকা হয়েছে রুনুর সাথে ভাবের বিনিময়ের,
পাশের রুমে স্ত্রী রুনু বেগম ঘুমিয়ে আছে,
আফতাব সাহেবেকবার ভাবে রুনাকে ডাকবে বৃষ্টিতে ভিজবে বলে,
আফতাব সাহেব আস্তে আস্তে স্ত্রী রুনু বেগমের ঘরে যান,মোনায়েম সুরে ডাকেন রুনু,রুনু!!
রুনু পাশ ফিরে শুয়ে বলে কি হয়েছে,কিছু লাগবে?
আফতাব সাহেব ভয় ও সংকোচবোধের কারণে বলতে পারে না,এসো বৃষ্টিতে ভিজি।বিনিময়ে বলে,
-আমি কি বৃষ্টিতে গোসল করবো?
-না,এই আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ভিজে গোসল করার কোন মানে নেই,জ্বর হবে,যাও ঘুমিয়ে পর।
আফতাব সাহেব কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে পরে,বারান্দায় দাড়িয়ে ছাদের বেলকনির দিকে তাকিয়ে তার ভিজতে খুব ইচ্ছা করে।
আস্তে আস্তে রুমে যায়,আলমারি খুলে রেইন কোট গায়ে দেয়,ঘর হতে ছাদে যায়,রেইন কোট গায়ে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে, শরীরে বৃষ্টির ফোটা পরার শব্দ উপভোগ করতে করতে গুনগুন করে গান ধরে,নরম হাতের স্পরশে তাকিয়ে দেখে স্ত্রী রুনু তার হাত ধরে একই শুরে গান ধরেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।