0000

মায়া রাজবংশীর নদী কথন: সংকোশ

সংকোশ একটি আন্তর্জাতিক নদী।নদীর প্রকৃতি সর্পিলাকার।  উত্তর ভুটানের কাঙ্গীনাথ পাহাড়ে ১৯ হাজার ৩শ' ৩৫ মিটার উঁচুতে এর উৎপত্তি। উৎপত্তিস্থল থেকে ভুটান
 
নায়িকার হাটের কাছে প্রবেশ অংশে সংকোশ
অতিক্রম করে নদীটি পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় প্রবেশ করে। ভারতে কোথাও কোথাও এই নদীকে রায়ডাক নদী নামেও ডাকা হয়।জলপাইগুড়ি জেলার নিউল্যান্ড, পোখরীগাঁও, হলদিবাড়ী, বালাপাড়া, নয়াবাড়ী, ভলকা, জোড়াই, মাঝেরডাবড়ী প্রভৃতি অঞ্চলের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসামে প্রবেশ করে। এরপর গোয়ালপাড়া জেলার (বর্তমানে কোকরাঝোর) পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ধুবড়ি শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে  কুড়িগ্রাম জেলার উত্তর-পূর্ব প্রান্তে নাইকার হাট নামক বাজারের পূর্ব-উত্তর দিক দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
সীমান্তের ওপার থেকে কচাকাটার থানা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা শংকোষ নদী বল্লভের খাস ইউনিয়নের মাদার গঞ্জ নামক জায়গায় (গোডাউন পাড়া) গিয়ে গঙ্গাধরের সঙ্গে মিলে গেছে।বাংলাদেশ অংশে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। এক সময়ের খরস্রোতা এই নদীর গতিপথের দৈর্ঘ্য সামান্য হলেও ভাঙন ছিল তীব্র। যে জায়গা দিয়ে প্রবাহিত হতো সেখানে চালাত তাণ্ডবলীলা। অব্যাহত ভাঙনের সঙ্গে পেছনে চর ফেলে সামনে অগ্রসর হওয়ায় গাবতলা,কচাকাটা,মাদারগঞ্জ  অংশে প্রমত্তা শংকোষ এখন শুকিয়ে মরা খাল।এখন ভূমি দখলদার নদীর পরিবর্তে এর নাম দিয়েছে বড় ছড়া। বর্ষা মৌসুম বাদে বছরের বাকি সময় এর বুকে বিভিন্ন চাষাবাদ হয়। বর্তমানে এর বুকে সবুজের সমারোহ। মূল ছড়ায় ইরি-বোরো বীজতলা ও অববাহিকায় কৃষক লাগিয়েছে শীতকালীন শাক-সবজি। ভুটানে এই নদীর নাম পুনা সাং চু। সংকোশ নদীকে প্রবহমান রাখতে মো চু এবং পো চু নামের অপর দুটি নদীর ধারার প্রবাহ সক্রিয় রয়েছে।
আন্তঃসীমান্ত নদী হলেও ভারত এই সংকোশ নদীর ওপর একটি বাঁধ নির্মাণের জন্য ভুটান সরকারের সাথে ২০১১ সালে একটি চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী ১শ' ৪৩ কিলোমিটার একটি খাল খনন করা হবে। এ খাল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে ফারাক্কায় অতিরিক্ত ১২ হাজার কিউসেক পানি সরবরাহ করবে।ফলে পানি প্রবাহ কমে যাবে গঙ্গাধর  ও ব্রহ্মপুত্রের। 

দ্বিতীয় টা -ভারতে সংকোশ নদীর উপরে ব্রীজ(ছবি সংগ্রহকৃত)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Back To Top