মাঝের আলগার চর ভাঙ্গন। ছবি-সম্পাদক |
বাঁয়ে রহিম চাচার বাড়ি,
ডানে সবুর চাচার বাড়ি,
আরো কত্তো বাড়ি।
পাশেই আবার ঝাড়বন।
আমার ঘরের দক্ষিণে জানলা খুললেই,
ঝাড়বন দেখা যেত।
জোছনা রাতে জোনাকিরা খেলা করত
আবার একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমত
সেই পানিতে হাঁসের বাচ্চাগুলো
সারাদিন প্যাক প্যাক করত।
কখনো কখনো অলস দুপুরে কাজের অবসরে
পাড়ার চাচীরা বসে গল্প করত।
নদীর পাড়ের বাতাস সবার শরীর জুরাত।
বলত সবাই, নদীর বাতাসে বেশ সুবিধেই হয়।
এইত সেদিন করিম চাচার মেয়ে ছকিনা এলো
সাথে ফুটফুটে একটা মেয়ে।
সারাদিন বায়না করত,নদীর পানিতে নাইতে যাবে।
একদিন গেলোও তাই,
কিন্তু ফিরে এলো না।
কড়াল গ্রাসী ছকিনার বুক খালি করে দিল।
সেই যে ছকিনা গ্রাম ছাড়ল
আর ফিরে এলো না।
আমরাও আর নদীর কাছে যাইনি।
নদী-ই এলো একদিন আমাদের কাছে।
শুরুতেই গিলে ফেলল,ঝাড়বনকে
একে একে, রহিম চাচা,সবুর চাচা সহ
পুরো গ্রাম রাক্ষসীর গর্ভে বিলিন হল।
এখনো মাঝ নদীতে দেখি
ঐ তো আমার বাড়ি,
আমার জানালা।
ঐ তো সেই ঝাড়বন।
ঐ তো ছকিনার মেয়ে ছুটছে ষাঁড়ের পিছু পিছু,
ঐ তো মা ডাকছে,ঘরে আয় খোকা,খেয়ে যা কিছু।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।