![]() |
রামদত্ত জাহাজঘাট/লঞ্চঘাট এ লেখক |
কিন্তু ঐ ৫ মিনিটের ভূমিকম্পের ফলে ভূ-প্রকৃতির যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটে তার ফলে ব্রহ্মপুত্র নদ তার গতি পরিবর্তন করে নারায়নপুর ইউনিয়নের পূর্ব-দক্ষিণ এবং যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলাকাটার চরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ফলে গঙ্গাধর ও দুধকুমার নদের প্রবাহপথ বৃদ্ধি পায়।
এমতাবস্থায় গঙ্গাধর নদ নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কুমেদপুর বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কাঠগিরিরচর, গরুভাসার চর, নুনখাওয়ারচর, শান্তিয়ারচর হয়ে ১২ বিশার চরের দক্ষিণদিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভগবতিপুরের চরের কাছে এসে ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়। ফলে গঙ্গাধর নদের মূল প্রবাহ দাঁড়ায় ৩৪ কিলোমিটার।
![]() |
গঙ্গাধর গরুভাসা অংশে মৎসজীবী, চিত্র- লেখক |
গঙ্গাধর নদটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। এবং নদটি অত্যান্ত ভাঙ্গণপ্রবণ। বর্ষাকালে নদটি প্রচুর পানি ও পলি বহণ করে নিয়ে আসে। ফলে গঙ্গাধর নদের দুইতীরে অনেকগুলো নতুন নতুন চরের সৃষ্টি হয়েছে। ১৮৯৭ সালের সেই বড় ভূমিকম্পের পূর্বে যখন ব্রহ্মপুত্রের মূল প্রবাহ মাদারগঞ্জ বাজারের দক্ষিণদিকে জাহাজঘাট হয়ে পাখীউড়া শৈলমারী দিয়ে আসামের দিকে ছিল তখন এইপথে অনেক মালবাহী জাহাজ চলাচল করতো। যা মাদারগঞ্জ বাজারের অদূর দক্ষিণে নোঙ্গর করতো ফলে ঐ মাঝিপাড়া অংশটির নাম হয় জাহাজঘাট, যা এখনও ঐ নামেই ডাকা হয়। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপরিবর্তন হওয়ার ফলে দিনদিন নদ তলদেশ ভরাট হয়ে যায় ফলে গঙ্গাধর নদ তার নাব্যতা হারায়। ১৯৪৭ সালের আগেও এই নদ দিয়ে ধুবরী অভিমুখে মালবাহী জাহাজ চলতো বলে প্রবীণ স্থানীয় অনেকেই এখনো স্মৃতিচারণ করেন।
লেখক-
জাহানুর রহমান খোকন
কুড়িগ্রাম, বাংলাদেশ।
1 মন্তব্যসমূহ
অনেক তথ্যপূর্ণ। নবীন পাঠক হিসেবে মাঝখানের দিকটায় একটু গুলিয়ে যাচ্ছিলো। তবে লেখকের লেখনী প্রসংশনীয়।
উত্তরমুছুনমন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।