আমাকে কোন প্রশ্ন করো নাকো,
দিব না উত্তর তার-
দিক দৈব্য ভ্রান্ত; এই আমি,
দেয়ালে পীঠ ঠেকা স্বামী
কোন এক মহিলার।
প্রিয় থেকে অতি প্রিয়তর
ছিলেম এক মানুষ,
প্রাণ ভরাছিল ঝর্ণাপ্রপাৎ প্রেম
আকাঙ্খা স্বপ্ন বেহুশ।
আজ সব ক্ষুয়ে গেছে
নুয়ে পরেছে সব সুখ,
পূর্ণিমারাত আধাঁর ঢেকেছে
যেন কোন কাল বিড়ালের মুখ।
আমার চোখে চেয়ে থেকো নাকো,
ফেলতে পারবে না-
এই পলক আর,
আমি তো গৃহবন্দী -
কোন এক পল্লিবালা নয়নার।
মায়া স্নেহ চীর প্রেম অতল,
বুকে মুখে জ্বলে অনল।
কোথায় ছিল চিল?
কাক দাড়কাক- কাকাতুয়া,
কোন বৈষ্ণবী
সেতারায় বেঁধেছে হিয়া?
আমি তার হিসেব রাখি নি
বাধিঁনি কোমরে তরবারি,
যৌবনে দাদনে নই- নই কেন?
পাকাঁ পাঁচ করা কারবারি!
দেয়ালে পীঠ ঠেকা স্বামী।
এই ছোট ঘর আর দোড়ে,
রেখেছি আমি কেন অভিসারে?
এমন মাতাল পুঁতুল-
যে চোখে মাখে কাঁজল,
চুলে বাধেঁ ফুল।
ঠোঁট তাঁর মরিচ লাল
বুক কাম স্থুল।
এই চোখের আড়ালে,
মনের আবডালে-
সে পুঁতুল বিকিয়েছে দেহ,
কত রাজ-রাক্ষস গিলেছে
হিসেব রাখেনি কেহ।
আমি তাঁর অবেলার ডাল- ভাত,
হৃদয়ে এসে করেছি হৃদক্ষাত।
আমিতো পাহাড় রূক্ষ যাযাবর,
সে কদম্বিনী ঝর্ণাপ্রাপাৎ!
বয়ে চলে চীর কাল চীর দিন,
মানে না হার হয় নাকো লীন।
আমায় প্রশ্ন করো নাকো,
উত্তর দিতে পারবো না তাঁর
এই আমি;
দেয়ালে পীঠ ঠেকা স্বামী
কোন এক মহিলার।
আমি তাঁরে রেখেছি ডোরে,
ভরিতে পারি নি ডালা।
তাই তো এ ফুল বিকাইছে হাটে-
আমারে করিয়া অবহেলা।
সহিতে পারি না আমি
বহিতে পারি না বোঝা,
চরন তলে কন্টকীর্ন
চেয়ে আছি মুখবোজা।
আমাকে কোন প্রশ্ন করো নাকো,
দিব না উত্তর তাঁর ;
এই আমি
দেয়ালে পীঠ ঠেকা স্বামী
কোন এক মহিলার।
1 মন্তব্যসমূহ
ভাই কবিতাটা ভালো লাগছে। ভালোবাসা নিবেন।
উত্তরমুছুনমন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।