কতবার করে, বহুবার ভাবি
যেহেতু জীবনাকাশে মোর -
বৈরী অম্বুদের ঘনঘটা,
এবার না-হয়
জীবন থেকে পালাই কোনো নির্জনে।
কী যে হলো---!
কোনো সঙ্গীত আমায়- বিমুগ্ধ করেনা আর
আগের মতন।
সকল হাসিতে দেখি-
স্বার্থের সরল অনুপ্রাস।
আমার এখন ভাল্লাগে না শান্ত সরোবরের-
ঝিমিমিলি ঢেউয়ের অবারিত কানাকানি।
জীবন সিন্ধুর মহাপাড়ে বসে শুনি -
বেদন বেহাগের বেসুরো তান।
সকল স্বপ্ন বাসি হয়ে গেছে,
বাসি হয়ে গেছে, ইচ্ছের শতদল গুলি।
কী যে হলো আমার...!
ভাল্লাগেনা আলমারিতে জমে থাকা
বাহারি পোশাকের আহবান।
থরে থরে সাজানো, বাইশপদি ভর্তার পেয়ালা,
ভুঁড়িভোজ টেবিল- ভাল্লাগে না।
ভাল্লাগে না অন্নসাধন, ভোজন যজ্ঞ কিছুই।
কিংবা......
লাং ড্রাইভের - এই পথ শেষ না হওয়া- অনির্বান অনুভূতি।
কী যে হলো.....!
ব্যস্ত জনপদেও পাই,
ঘাড়ের উপর পড়া -
মৃত্যুপুরীর ঠাণ্ডা নিঃশ্বাসের উষ্ণ ছোঁয়া!
ইচ্ছের গলিপথে দেখি-,
শাপদ-সংকুল আবহ, আর --
নিরাশার গুমোট অাঁধারের
নিপাট বিন্যাস!
কুয়াশার মেঘে হাত ভিজে যায়,
মন ভেজে না যেনো!
আমি নিখোঁজ ইলোরার খোঁজে
একটি সরু পথ খুঁজি-
আমি হেঁটে হেঁটে অদৃশ্য হতে চাই
তোমাদের দৃষ্টির রাডার হতে।
লুকোতে চাই হোথা, সকল কোলাহল ছাড়ি..।
আমি ভুলতে চাই-
আমার সকল আয়ুষ্মান স্মৃতি,
আর আমাকেও ।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।